মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে পুলিশ দেখে খালে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজের ৩৯ ঘণ্টা পর কুদ্দুস সরদার (৪২) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১১ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার বেতকা ছটফটিয়ে গ্রাম সংলগ্ন ইছামতি নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গত বুধবার (৯ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার বালিগাঁও এলাকায় পুলিশ দেখে পাশের ডহুরি খালে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন তিনি।
নিহত কুদ্দুস স্থানীয় হাট বালিগাঁও এলাকার আ. সাত্তার সরদারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে টঙ্গীবাড়ী ও লৌহজং থানায় ১৪টি মাদক মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেলে টঙ্গীবাড়ী থানার এসআই মো. আল-মামুন ফোর্স নিয়ে বালিগাঁও ইসলামপুর এলাকায় টহল দিচ্ছিলেন। এসময় রাস্তার বিপরীত দিক থেকে আসা অটোরিকশার দুই ব্যক্তি পুলিশ বলে চিৎকার দিয়ে রিকশা থেকে নেমে দুইদিকে দৌড় দেন। কুদ্দুস সরদার রাস্তার পশ্চিম পাশে থাকা পদ্মার শাখা ডহুরি খালে ঝাঁপ দেন।
পুলিশ সদস্যরা বিষয়টি টের পেয়ে খালে কুদ্দুসকে দেখতে পেয়ে উঠে আসতে বলেন। এসময় স্থানীয়রাও তাকে উঠে আসতে বলেন। কুদ্দুস কারও কথা না শুনে বালিগাঁও বাজারে দিকে সাঁতরে চলে যান। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। শুক্রবার সকালে স্থানীয় চাষি বালিগাঁও এলাকায় তার মরদেহ ভেসে ওঠে। পরে পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (সিরাজদিখান সার্কেল) মোস্তাফিজুর রহমান রিফাত বলেন, নিখোঁজের পর কুদ্দুসকে ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। আজ সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত কুদ্দুস সর্দারের বিরুদ্ধে লৌহজং এবং টঙ্গীবাড়ী থানায় ১৪টি মাদক মামলা রয়েছে।